ঠাকুর ঘর কেমন হলে শুভ
১. বাড়ির কোন অংশে স্থাপন করতে হবে দেব-দেবীদের?
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে পূজার ঘর সব সময় পূর্ব দিকে মুখ করে থাকা উচিত। আর পূজা করার সময় বসা উচিত পশ্চিম দিকে মুখ করে। এমনটা করলে দেবের আশীর্বাদ মেলে। সেই সঙ্গে পরিবারের অন্দরে পজেটিভ শক্তির প্রভাব এতটা বেড়ে যায় যে সুখ এবং সমৃদ্ধি রোজের সঙ্গী হয়। প্রসঙ্গত, যাদের পক্ষে পূর্বদিকে মুখ করে ঠাকুর ঘর তৈরি করা সম্ভব নয়, তারা অন্তত পশ্চিম দিকে মুখ করে বসে পূজা করার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেও বেজায় সুফল পাওয়া যায়।
২. দেবী-দেবীর মূর্তির মাপ:
প্রাচীন কালে লেখা একাধিক পুঁথি অনুসারে বাড়ির ঠাকুর ঘরে রাখা প্রতিটি মূর্তির সাইজ বুড়ো আঙুলের থেকে বেশি হওয়া উচিত নয়, বিশেষত শিবের মূর্তি। এই মাপের মূর্তি বাড়িতে রাখলে নানাবিধ সুফল পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে ভগবানের আশীর্বাদ থাকার কারণে কোনও ধরনের বিপদ ঘটার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
৩. ভুলেও শিব লিঙ্গ রাখা চলবে না:
অনেকেই বাড়িতে শিব লিঙ্গ স্থাপন করে থাকেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ শাস্ত্র মতে শিব লিঙ্গ হল শক্তির আধার। তাই ঠিক ঠিক নিয়ম মেনে যদি শিব লিঙ্গের পুজো করা না যায়, তাহলে কিন্তু বিপদ!
৪. ঠাকুর ঘরে যেন সূর্যালোকের প্রবেশ ঘটে:
শাস্ত্র মতে বাড়ির এমন জায়গায় ঠাকুরের আসন বা মন্দির স্থাপন করা উচিত যেখানে দিনের কোনও না কোনও সময় সূর্যের আলো প্রবেশ করে। ঠাকুরের স্থানে যদি আলো-বাতাস না খেলে তাহলে খারাপ শক্তির প্রকোপ বাড়তে থাকে। ফলে নানাবিধ সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় বেড়ে।
৪. পুজোর ফুল:
ঠাকুরের আরাধনা করার সময় খেয়াল করে তাজা ফুল পরিবেশন করবেন। ভুলে বাসি ফুল বা মালা ব্যবহার করবেন না। কারণ এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পবিত্রতা ক্ষুন্ন হবে। প্রসঙ্গত, যদি সম্ভব হয়, তাহলে প্রতিদিন তুলসি পাতা এবং গঙ্গা জলের সাহায্যে পুজো করা উচিত। কারণ এমনটা করলে ঠাকুর ঘরের পবিত্রতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে গৃহস্থের অন্দরে পজিটিভ শক্তির প্রভাবও বাড়তে থাকে।
৫. যে যে জিনিস ভুলেও ঠাকুর ঘরে রাখা চলবে না:
ঠাকুর ঘরের সামনে চামড়ার কোনও জিনিস রাখা চলবে না, বিশেষত জুতো এবং চামড়ার ব্যাগ। এখানেই শেষ নয়, এক্ষেত্রে আরও কতগুলি নিয়ম মেনে চলা উচিত। যেমন ধরুন- ঠাকুর ঘরের অন্দরে মৃত ব্যক্তির ছবি রাখা চলবে না। কারণ এমনটা করলে পূজার ঘরে নেগেটিভ শক্তির প্রভাব বাড়তে থাকবে, যা মোটেও শুভ নয়।
COMMENTS